গল্পঃ ডেন্জারাস বউ পর্বঃ ২
পাপাপানি.....পানি....
এই ছিলো সারপ্রাইজ
মান সন্মান সব নিলামে উঠাইলো 😰😰😖😖
ইরা মুচকি মুচকি হাসছে ৷
আর আমি না পারছি সইতে না
পারছি কইতে তার উপর এমন লজ্জা লাগছে
কিছু বলার ভাষা পেলাম না ৷ অসহায় দৃষ্টিতে আম্মুর দিকে তাকালাম 😥😥
এ কি বউ এনে দিলা , না হয় বউয়ের জন্য একটু বেশিই জ্বালাতন করছি তাই বলে এমন বউ এনে দিলা
.......
...
.
তারপর ইরাদের বাসা থেকে লোক আসলো আমাদের নিতে ৷
তারপর সব কিছুই স্বাভাবিক ছিলো
অস্বাভাবিক হলো ইরাদের বাসায় গিয়ে
ওদের বাসায় নাকি একটা কুত্তা আছে
আমি আবার কুত্তা দেখলে ভিষন্ন ভয় পাই ৷
গাড়ি থেকে নেমে শশুর শাশুরির সাথে কৌশল বিনিময় করে যেই না ঘরে
ডুকলাম ,দেখছি একটা কুত্তা আমাদের দিকে দৌরে আসছে
আর আমি
যখনই দেখলাম কুত্তা আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে ৷
আমি ভৌ করে দিলাম এক দৌড় একেবারে গেটের বাইরে ৷
সবাই যেনো আষ্টম আর্চয্য দেখে ফেলছে৷😱
আমি বুঝি না এত অবাক হওয়ার কি আছে৷
এমন একটা ভাব নিয়ে আবার আসলাম গেটের কাছে
শশুর আব্বা বললো কি হয়েছে বাবা৷
আমিঃ না মানে হয়েছে কি ছোট বেলায় আমায় একবার একটা পাগলা কুত্তা এমন কামর দিছিলো তখন থেকেই খুব ভয় পাই ৷
শালিকাঃদুলাভাই এটা তো পাগলা না ৷
এত ভয় পাওয়ার কি আছে ?
(ইরার বোন মিরা দশম শ্রেনিতে পরে শুনেছি )
আমি বিরোধিতা করলাম
মানুষের মাঝে কুত্তার বসবাস কেনো এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছি না৷
( কেননা তারা যে পরিমান খাবার ঐ কুত্তা টার পিছনে অপচয় করে তা যদি প্রতিদিন কোনো ফকির মিসকিন বা এতিম কে দান করতো তো নিশ্চিত আল্লাহর কাছ থেকে রহমতের নেয়ামত পেত ) মনে মনে ভাবলাম
তারপর বাসায় প্রবেশ করলাম ফ্রেস হয়ে নিলাম ৷
তবে কুত্তা থেকে দুরে দুরে থাকি ৷🐩🐩
কিন্ত ইরার বোন মিরা এত দুষ্টু ফাজিল মাইয়াডা বার বার আমারে কুত্তার🐩 সামনে ফেলে ভয় দেখায় ৷
আমার সামনে বিস্কিট ছুরে দেয় কুত্তা দৌড়ে আমার দিকে আসে আমার কজিজা ধুকপুক ধুকপুক করে আমি চোখ বন্ধ করে নেই ও
খিল খিল করে হাসে৷😂😂
শালি আমার হাটএটাক করাইয়া মারতে চায়
কইতে ও পারি না সইতেও পারি না 😥😥
আমি ও ওরে দেইখা নিমু 😏
আমি ও কম কিসে
নতুন বলে কিছু বলতে পারছি না
নইলে মাইরা মাইরা তক্তা করে দিতাম৷
বিয়ের সময় যে সব আত্মীয় আসতে পারেনি,
তারা এখন আসছে।
এদিকে এক এক করে সবার সাথে
ইরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল, এ ওমুক ও তমুক।
সন্ধ্যার সময় ইরা হালকা কিছু নাস্তা নিয়ে এলো
বললো নাস্তা খেয়ে নিতে
আমি ৩০ সেকেন্ড নাস্তার দিকে তাকিয়ে আছি
কি কি দিলো দুইডা কাট বিস্কুট কয়েক পিস আপেল কয়েকটা আঙ্গুর একটা পেট্টল বোমার কাপ মানে চায়ের কাপ৷☕☕ চা খেলে আমার জিহব্বা পুরে যায়
তবে এত দিনে এই বুদ্ধি হয়েছে যে চা খেলে ,
এখন শরবত করে খাই🍷🍷
এরই মধ্যে ইরা জারি মেরে বললো খাও না কেনো 😠😠
খাইয়ে দিতে হবে নাকি
আমি ও বলে দিলাম দেও তবে
ও চোখ রাঙ্গিয়ে বললো 😠
তাহলে একটু চাবিয়ে ও দেও😠😠 যতসব নেকা
আমি- না আফা লাগত না অন্নে যান 😥
মনের দুখে নাস্তা শেষ করলাম
ভাবছি আমার কপালেই এমন আনরোমান্টিক থাড পারসুন সিঙ্গুলার নাম্বার বউ জুটলো
কত স্বপ্ন ছিলো একটা রোমান্টিক বউ জুটবো
বাল পাইছি বউ পাইছি😰😰
পাশের রুমের সামনে গিয়ে
দাড়ালাম।
জানালা দিয়ে দেখলাম, শালী একা একা
টিভি দেখছে, বিখ্যাত সেই মুভি, " টাইটানিক"।
রোজ
আর জ্যাকের সেই কাছা কাছি ঘনিষ্ট দৃশ্য চলছে।
রুমে
ঢোকা মাত্রই দাড়িয়ে গেল, শালী।
শালী আমাকে দেখে, কাচু মাচু হয়ে আমার সামনে
মাথা নিচু করে আছে।
বুঝতে পারলাম শালী আমার
লজ্জা পাচ্ছে।
শালী আরও কিছুটা আমার দিকে ঝুকে এসে বলল,
ধরেন.....?
আমি ও ধরলাম 🙈🙈
😉
😉
😉
রিমোট।
আমার হাতে রিমোট দিয়ে
শালী দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
একা একা
কি আর করব। রিমোট দিয়ে চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
খবর দেখতে থাকলাম।
এরই মধ্যে শশুর আর শাশুরি রুমে এসে বসল। টুক টাক কথা
হচ্ছিল, আমি যেহেতু ব্যবসা করি বাবার সাথে সেই সম্পকে আমার ব্যবসা বাণিজ্য কেমন চলছে ৷
কথায় আছে না,
"যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে রাত হয়।"
আমার বেলা হয়েছে,
"যেখানে বেইজ্জত হবে, সেখানে ব্যাটারীর চার্জ শেষ
হবে।"
রিমোট দিয়ে চ্যানেল বদলাচ্ছি, হঠাৎ করে রিমোট
কাজ করছে না।
বোধ হয় ব্যাটারী শেষ।এমন এক
চ্যানেলে এসে ব্যাটারী শেষ হয়েছে, কি আর বলব,
আপনি কি দম্পতি জীবনে অসুখী?
বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন?
অনেক টাকা নষ্ট করেও কাজ হয়নি?
আর চিন্তা নেই, মাত্র এক ফাইল সেবনেই রেজাল্ট।
বিফলে মূল্য ফেরত। কোন পার্শপ্রতিক্রীয়া নেই..... পুরা ৩ মিনিট চললো
আমি ম্যাকানিকের মতো মাথা নিচু করে খুটিয়ে
খুটিয়ে রিমোট দেখতে লাগলাম।
আরচোখে শশুর আব্বাকে
দেখলাম, মাথা উচু করে সিলিং ফ্যান দেখছে। মনে
হচ্ছে, সেকেন্ডে কতবার ফ্যান ঘোরে সেটাই গুনছে।
হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেল। যাক খুব জোর ইজ্জত
নিয়ে কোন রকম বাঁচলাম।
কিন্ত সন্ধ্যর পর থেকে আমার বউ মহাদয়ের কোনো খোজ পেলাম না উনি রান্না নিয়ে ব্যস্ত
রাত নয়টার সময় ডিনার এর জন্য শাশুরি আম্মা ডাকলো
বউয়ের ছোট ফেমেলি শশুর শাশুরি বউ আর বউ এর বোন ৷
চেয়ার টেনে টেবিলে বসতেই দেখছি ইরা আড় চোখে রাগি রাগি লুক নিয়ে তাকাচ্ছে ,
শালিকা দেখি মুচকি মুচকি হাসছে
আমি বিপদের আভাস পেলাম
যাক গেয়ে আগে খেয়ে নেই পরে দেখা যাবে
খাওয়ার মাঝে দেখছি শালিকা হাসির জন্য খেতে পারছে না ৷
শাশুরি মা বার বার চোখ রাঙ্গাছে কিন্ত তার হাসি থামছে না ৷
বুজলাম না খাওয়ার সময় এত হাসির কি আছে ৷
কিন্ত কে যানতো এই হাসির কারন যে আমিই
প্লেটের অর্ধেক ভাত খেয়েছি ৷
এমন সময় শালিকা নিচের দিকে ইশারা করছে দেখার জন্য ৷
আমি তো নিচে তাকিয়ে পুরাই আবুল বনে গেলাম ৷
একটু জোরেই বলে দিলাম
আয় হায়
আমার দুটোর তো একটা নেই ৷
বলেই জিহ্ববায় কামর দিলাম এভাবে বলা ঠিক হয় নি ৷
শশুর এর গলায় ভাত আটকে গেছে মনে হয় যক্ষা রোগির মত খুক খুক করে কাশতে ছে ৷
ইরা হেচকি দিতেছে বার বার
আমি বললাম আমার আরেকটা জুতা কে পাল্টাইলো
শালিকা খাবার রেখো চাপা হাসি হাসতে হাসতে দৌড়ে পালালো ৷
শশুর খাবারে পানি দিয়ে উঠে গেলো
আমি আমার মত খাবার শেষ করে
বাংলিশ জুতা নিয়ে রুমে চলে আসলাম
আগে এসেই খাটে বসে বসে ফোন চিপতেছি
আজ মনে হয় সোফায় ঘুমাতে হবে আমি খাটে বসে ফোন টিপছি
সারে দশটার পর ইরা রাগি লুক নিয়ে ঘরে ডুকে খট করে দরজা বন্ধ করে চট করে আমায় বিছানায় ফেলে উপরে বসে হাত দুটো চেপে ধরে বললো
এই আপনি এত বোকা কেন
কখন কই কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না
অর্কমার ঢেকি ওর রাগি লুক দেখে আমি অসহায় এর মত তাকিয়ে আছি😥😥
মনে হয় আজ আর খাটে ঘুমাতে দিবে না ৷
(মনে মনে আমার ভবিষ্যৎ দেখে নিলাম ইরা আমার জীবন তেজপাতা করে ছারবে )
কেন যে আব্বা আম্মু কে বিয়ে কথা বলেছিলাম
খাল কেটে কুমির এনেছি মনে হয়
তারপর ইরা বললো যান সোফায় গিয়ে ঘুমান
আমি : উহূ একটু খাটে ঘুমাতে দেন না
ইরা: আপনার চরিত্রে দোষ আছে ৷আপনার সাথে ঘুমানো যাবে না
আমিঃ আরে আজিব তো কে বলছে এমন বাজে কথা আমি মেয়েদের দিকে লজ্জা তাকাতে পারি না
ইরাঃ সেটা তো আপনার বোকা বোকা কাজ গুলোই বলছে খাটের উপাশে ঘুমাবেন মাঝখানে বালিশ থাকবে
এপাশে আসলে খবর আছে বলে দিলাম 😠😠
ও শুইয়ে পরলো
আমি ও শুইয়ে পরলাম
মাঝরাতে মনে হলো আমি মনে হয় বালিশ টপকে
চলবে ..............
Next part coming Soon please wait
ভালো লাগলে জানাবেন নয় তো লিখবো না আর
ধন্যবাদ
No comments
If you have any doubts. Please let me know.